খেলাধুলা ডেস্ক: চলতি বছর অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের যে কনডমগুলো দেওয়া হবে সেগুলো অলিম্পিক ভিলেজে (ক্রিড়াবিদদের জন্য নির্ধারিত আবাস) ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির সদস্যরা। এর পরিবর্তে অলিম্পিক শেষে দেশে ফিরে সেগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এইচআইভি এবং এইডসবিষয়ক গণসচেতনতা বাড়াতে ১৯৮৮ সালে সিউল অলিম্পিক থেকে ক্রীড়াবিদদের কনডম প্রদান শুরু করেছে অলিম্পিক আয়োজক কমিটি। প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় এই বৈশ্বিক ক্রীড়ার মহা আয়োজন। সেই অনুযায়ী চলতি বছর আগামী মাস থেকে জাপানের টোকিওতে শুরু হতে যাচ্ছে অলিম্পিক।
টোকিও অলিম্পিক আয়োাজকরা জানিয়েছেন, এবারের আসরে অংশ নিতে বিশ্বের সব দেশ থেকে যে ক্রিড়াবিদরা আসবেন, তাদের জন্য মোট দেড় লাখ কনডম বরাদ্দ করা হয়েছে; কিন্তু মহামারির কারণে সেগুলো অলিম্পিক ভিলেজে ব্যবহার করতে পারবেন না প্রতিযোগীরা।
সোমবার এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে আয়োজক কমিটি বলেছে, ‘ক্রিড়াবিদদের যে কনডমগুলো দেওয়া হবে, সেগুলো অলিম্পিক ভিলেজে ব্যবহারের জন্যে নয়। বরং তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে- এগুলো তারা তাদের নিজের দেশে নিয়ে যাবেন এবং এইচআইভি ও এইডসের বিষয়ক গণসচেতনতা বৃদ্ধি করবেন।’
অলিম্পিকের খেলাগুলো দেখতে যে দর্শকরা আসবেন তাদের জন্যই নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। গ্যালারিতে বসার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে তাদের। পাশাপাশি, উল্লাস প্রকাশের ক্ষেত্রে চেঁচানো বা গান গাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে হাততালি দিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করতে পারবেন তারা।
প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী সব প্রতিযোগী অলিম্পিক ভিলেজে একই ডাইনিং হলে খাবার গ্রহণ করেন। অলিম্পিক আসরের মূল মর্মবস্তু পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্ব – তা বাড়াতে এটি সহায়ক বলে মনে করা হয়।
তবে মহামারি আবহে এই প্রথারও পরিবর্তন হচ্ছে। অলিম্পিক ভিলেজে সব প্রতিযোগীকে এবার একা একাই আহার করতে হবে।
বিবৃতিতে এ বিষয়ে আয়োজক কমিটি বলেছে, ‘বর্তমান মহামারির যে বৈশিষ্ট, তাতে একজন যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, সেক্ষেত্রে অলিম্পিক ভিলেজের সবারই আক্রান্তে ঝুঁকি রয়েছে। সামান্য অসতর্কতার কারণে অলিম্পিক ভিলেজ থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়াবে- এটি কোনোভাবেই আমাদের কাম্য নয়।’