পাবনা: পাবনার সাঁথিয়ার আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী তামান্নার জীবনের কাল হলো বনভোজনের টাকা জমা রাখা। জমাকৃত বনভোজনের টাকা হারিয়ে যাওয়ায় শিক্ষকের চাপের মুখে সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে শনিবার ক্ষেতুপাড়া আবদুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে ষষ্ঠ শ্রেণির তামান্নার (১২) সহপাঠীরা জানান, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিপেন্দ্র নাথ আমাদের বনভোজনে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
আমরা তাতে রাজি হয়ে চাঁদা দেই। উত্তোলনকৃত টাকা শিক্ষক দিপেন্দ্রনাথ তামান্নার কাছে জমা রাখেন। পরে জমাকৃত টাকা শিক্ষক ফেরত চাইলে সে গড়িমসি করতে থাকে।
একপর্যায়ে বনভোজনের সময় আসন্ন হলে জমাকৃত টাকা হারিয়ে যাওয়ায় শিক্ষককে ফেরত দিতে পারেনি। ৫ নভেম্বর সকালে তামান্না স্কুলে না এসে পাশেই নানার বাড়ি গিয়ে গোয়ালঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তামান্নার মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করলেও পারিবারের সদস্যরা মুখ খোলেনি। মৃত্যুর পরেই তামান্নার এক আত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমি তার বাক্স খুলে নগদ ২৪’শ টাকা পেয়েছিলাম।
টাকার সঙ্গে কাগজে ৭ হাজার ৪৪০ টাকার একটি লিস্টও পেয়েছিলাম। তাতে স্কুলের বিভিন্ন ছাত্রীর নাম লেখা ছিল।
এ ব্যাপারে আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন জানান, বিদ্যালয় থেকে বনভোজনে যাওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
সাঁথিয়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তামান্নার অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। তবে একটা ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠান হয়েছে।
আপনার মন্তব্য