
জাতীয় ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রোধে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার।
প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, সেজন্য গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় মাস্ক নিয়ে কথা হয়।
এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন, কভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, বৈদেশিক সহায়তা পরিস্থিতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কেও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ জানান, বিভাগীয় কমিশনাররা জানিয়েছেন যে মাস্ক না পরায় রোববার কয়েক হাজার মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৭টি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আরও এক সপ্তাহ দেখা হবে।
এরপর প্রয়োজনে আরও শক্ত অবস্থান নেওয়া হবে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময়ও বেশি বেশি মাস্ক সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রোববার বিভাগীয় কমিশনারদের সভায় ধর্ম সচিব ছিলেন। ধর্ম সচিবকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচারের কথা বলা হয়েছে। একইভাবে শিক্ষা সচিবকেও বলে দেওয়া হয়েছে। তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক হারে প্রচার করবেন।
এক্ষেত্রে গণমাধ্যম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগে করোনাভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে। ঢাকার বাইরে সেভাবে ছড়াচ্ছে না। ঢাকা শহরে গত ১৫ দিন আগে দৈনিক ৩০০ রোগী ছিল, রোববার তা বেড়ে হয় ৬০০।
আপনার মন্তব্য