প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হত্যা, মৃত্যুদণ্ড যুবকের

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুরে সুইটি আক্তার বন্যা (৭) হত্যা মামলায় ফারুক হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে একবছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচার আবদুস সালাম জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।

হত্যার পর মরদেহ গুমের অপরাধে সাত বছর ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

এছাড়া চুরির অপরাধে এক বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দণ্ডিত ফারুক হোসেন জেলার মোহনপুর উপজেলার ঘোরসা মোল্লাপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন ওই যুবক। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

নিহত সুইটি আক্তার বন্যা উপজেলার ঘোরসা মোল্লাপাড়া গ্রামেই সমির উদ্দিনের মেয়ে। শিশু বন্যা প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ২০১১ সালের ২৩ জুন তাকে খুন করা হয়।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শরিফুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন সকালে শিশু বন্যা স্কুলে যাচ্ছিল। তখন ফারুক তাদের ফাকা বাড়িতে শিশুটিকে ডেকে নেয়। এরপর তাকে শ^াসরোধে হত্যা করে। পরে তার কানের দুল খুলে নিয়ে লাশটি টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।

পরে পরিবারের সদস্যরা বন্যাকে খুঁজে না পেলে স্থানীয়রা ফারুকের বাড়ি ঘেরাও করেন। তারা ফারুককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে ফারুক স্বীকার করেন বন্যাকে হত্যা করে লাশ সেফটি ট্যাংকে ফেলা হয়েছে। 

পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ফারুককে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় শিশু বন্যার বাবা ফারুকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। 

আইনজীবী শরিফুল ইসলাম আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামি ফারুক জেলহাজতেই ছিলেন। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রায় ঘোষণা শেষে তাকে আবারও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট।

Leave a Reply