দেশ ডেস্ক: স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করার জন্য ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় কবিরাজের কাছে এসে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই নারীর (২৫) বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া উপজেলায়। গত ৩০অক্টোবর নান্দাইলে এসে ওই কবিরাজের দারস্থ হয়েছিলেন তিনি। পরে গত রোববার সন্ধ্যার পর এক রিকশা চালকের সহায়তা নান্দাইল থানা ফটকের কাছে আসেন ওই নারী।
এসময় কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে তার প্রথম স্বামী মারা যান। এরপর তিনি পুনরায় বিয়ে করলেও সেই স্বামীর সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে তিনি তার এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলে তার সাহায্য চান। বান্ধবী তাকে (নারীকে) নান্দাইলের ওই কবিরাজের সন্ধান দিয়ে তার কাছে আসতে বলেন।
বান্ধবীর দেওয়া ঠিকানা ও নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৩০ অক্টোবর তিনি গোপালগঞ্জ থেকে নান্দাইলে কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে নামেন। বাসস্ট্যান্ডের কাছেই কথিত কবিরাজ মুক্তোল হোসেনের বাড়ি।
তিনি লোকজনের কাছ থেকে জেনে কবিরাজের বাড়িতে যান। কবিরাজ দাম্পত্য সম্পর্ক ঠিক করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছে হাদিয়া হিসাবে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি খাসি দাবি করেন। পরে তিনি কবিরাজের সঙ্গে ১০ হাজার টাকায় রফা করেন।
ওই নারী বলেন, কবিরাজ আমাকে জানান- সমস্যা সমাধানে কাজ করার জন্য আমাকে সাতদিন তার বাড়িতে থাকতে হবে। কবিরাজের বাড়িতে সাতদিন অবস্থানকালে তাকে তাবিজ-কবজ দিয়ে নানা রকমের কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নানা ধরনের কথা বলে কবিরাজ তার বিশ্বাস অর্জন করেন। এ কারণেই তিনি তার বাড়িতে সাতদিন থাকতে রাজি হন। বাড়িতে অবস্থানকালে ষষ্ঠতম দিনে তিনি কবিরাজ মুক্তোল হোসেনের ভিন্ন রুপ দেখতে পান।
কথা না শুনলে তাকে ( নারীকে) নিখোঁজ করে ফেলার হুমকি দেন কবিরাজ। তার হুমকিকে ভড়কে যান তিনি। পরে গত ৬ নভেম্বর ওই কবিরাজ ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
ওই নারী বলেন, সম্পর্ক খারাপ হলেও আমার স্বামী, দুটি সন্তান ও সংসার রয়েছে। আমি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। ওই কবিরাজ ধর্ষণের পর থানায় আসতে না দিয়ে বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ওই নারীর বক্তব্য শুনে কবিরাজের বিরুদ্ধে রোববার রাতেই ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
Leave a Reply