স্টাফ রিপোর্টার: গত ১৩ আগস্ট ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন কৌতুক অভিনেতা শামীনুর রাহমান ওরফে চিকন আলীর স্ত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা । এরপর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ।
স্ত্রীর ও সন্তানের সন্ধান চেয়ে বুধবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন চিকন আলী।
চিকন আলী নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের খাদাইল গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা বদলগাছী উপজেলার নির্বিাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
ফেসবুক পোস্টে চিকন আলী লিখেন,বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনা পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত শুক্রবার বের হয়ে গেছেন। যদি কেউ তার সন্ধান পেয়ে থাকেন, নিকটস্থ থানায় অবহিত করবেন… ধন্যবাদ।’
এদিকে, চিকন আলীর পরিবার জানিয়েছে, গত শুক্রবার খালেদা বাড়ি থেকে বড় ছেলে আরিয়ান ও ছোট ছেলে আহ্বানকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় যান।
চিকিৎসা শেষে বড় ছেলেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন কল্পনা। তিন্তু ছোট ছেলেকে নিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সেদিন থেকেই বন্ধ তার মুঠোফোন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পায়নি পরিবার।
তবে ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনা নিরুদ্দেশ নন। ইচ্ছেকরেই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তিনি। এমনটি নিশ্চিত করেছেন চিকন আলীর ঘনিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। গত বুধবার উপজেলা পরিষদে গিয়েছিলেন কল্পনা। পরিচিত জনদের সাথে সাক্ষাত করে দ্রুত বেরিয়ে যান তিনি।
ভাইস চেয়ারম্যানের উপজেলা পরিষদে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল্পনা ইয়াসমিন। তিনি জানান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বুধবার উপজেলা পরিষদের এসেছিলেন। আমার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তিনি।
শামীনুর রাহমান ওরফে চিকন আলী বলেন, ‘ভালোবেসে তাকে (খালেদকে) বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের আগে বুঝতে পারিনি বিভিন্নজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে এক সন্তান জন্ম নেয়।
সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সংসার করছিলাম। কিন্তু কিছুতেই সে সংশোধন হচ্ছিল না। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাকে জনপ্রতিনিধি করার। কারণ জনপ্রতিনিধি হলে আত্মসম্মানের জন্য হয়তো ভালো হবে। এরপর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। এলাকার কোনো উন্নয়ন না করে সবকিছু আত্মসাৎ করত। এলাকাবাসী আমাকে ফোন করে এসব অভিযোগ করত।
আত্মসাৎ করা টাকা তার বাবার বাড়িতে পাঠাত। এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার মনোমানিল্য হয়। তাকে সংশোধন হতে বলা হয়। উল্টো আমাকেই মামলার হুমকি দেয়। ছেলের চিকিৎসা করানো কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এমনকি তার ফোন নম্বরও বন্ধ আছে। তার বাবার বাড়িতে কয়েক ঘণ্টা ছিল বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার কল্পনার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply