স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী: বিক্রির উদ্দেশ্যে পুকুর থেকে মাছ তোলার কথা ছিল ভোররাতে। তাই গভীর রাতে পুকুরের গিয়ে টঙঘরে শুয়ে ছিলেন মাছচাষি মাসুদ রানা (৪৫)। সঙ্গে সহযোগী লিটন আলীও (৩০) ছিলেন।
কিন্তু জেলেরা পৌঁছার আগেই পুকুরে হানা দেয় চোরের দল। তাদের দুজনকেই হাত-পা শক্ত করে বেঁধে উপুড় করে ফেলে রাখে। এরপর মাছ তুলতে পুকুরে জাল নামায়। জাল টেনে তোলার আগেই পৌঁছে যায় মাছ চাষির জেলেরা। শেষে জাল ফেলেই পালিয়ে যায় চোর।
জেলেরা এসে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পান মাসুদ রানা ও লিটনকে। কিন্তু মাসুদ রানা তখন সাড়াশব্দহীন। নাকমুখ শক্ত করে বাঁধায় শ^াসরোধে মারাই গেছেন তিনি।
এই ঘটনা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের লালদীঘি এলাকায়। নিহত মাসুদ রানা উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের চাপাল এলাকার আব্দুল খালেক সরকারের ছেলে।
লালদীঘি এলাকার গ্যাংটা পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন তিনি। তার সহযোগী লিটন আলী একই উপজেলার কানাইডাঙ্গা এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাত ও পা বাঁধার পরও গামছা দিয়ে দুজনের শক্ত করে নাক-মুখ বাঁধা ছিলো। এতেই শ^াসরোধ হয়ে মাসুদ রানা মারা গিয়ে থাকতে পারেন।
তবে লিটন প্রাণে বেঁচে গেছেন। খবর পেয়ে রাতেই গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, এনিয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিহতের স্বজনরা। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টাও চালাচ্ছে পুলিশ।
Leave a Reply