স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী: রাজশাহীর একমাত্র কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সে রোগী উঠল। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষু রোগী লুৎফর রহমানকে নিয়ে অত্যাধুনিক এই অ্যাম্বুলেন্সটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ছেড়ে যায়।
এর আগে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নওগাঁ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী উপপরিদর্শক লুৎফর রহমান রামেক হাসপাতালে আসেন। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে আইসিইউ সুবিধা থাকা কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
তবে রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বেলা ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি পথে সিরাজগঞ্জের চৌহলি উপজেলার খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। আপাতত রোগীকে সেখানে নেয়া হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সটির চালক আশরাফুল আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অবস্থা বিবেচনায় পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সঙ্গে থাকা চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন চালক।
এর আগে দুপুরের দিকে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের জানান, বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সটিতে মুমূর্ষু একজন রোগী ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুজন চিকিৎসক এবং একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্রাদার রয়েছেন তত্ত্বাবধানে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৯ সালের ৬ মে ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৫ টাকা মূল্যের ইতালিয়ান ব্র্যান্ড আইভেকোর বিশেষ এই অ্যাম্বুলেন্সটি পায় রামেক হাসপাতাল।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) অ্যাম্বুলেন্সটির ভেতরে উন্নত প্রযুক্তির ইসিজি, ভ্যান্টিলেটর ও সাকার যন্ত্র এবং সিরিঞ্জ পাম্প, মনিটর, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ জীবনরক্ষাকারী বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু দক্ষ চিকিৎসক-নার্সের অভাবে এটি বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই।
হাসপাতাল পরিচালক বলেন, হাসপাতালে যে আইসিইউ ইউনিট, তার তুলনায় অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম বেশি। ফলে সেটি চালানোর মতো দক্ষ জনবল আমাদের নেই। বিষয়টি জানিয়ে অনেকদিন আগেই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবুও স্বপ্রণোদিত হয়েই বুধবার সেটি রোগী নিয়ে প্রথমবারেরমত রাস্তায় নামানো হয়েছে।
Leave a Reply