রামেক করোনা ইউনিটে ২ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আরও ৬ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে করোনায় ২ জন এবং করোনা উপসর্গে ৪ জন মারা গেছেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে এরা মারা যান। 

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণে হাসপাতালে রাজশাহী ও নাটোর জেলার একজন করে মোট ২ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন নাটোরের ২ জন, রাজশাহী ও  নওগাঁর একজন করে আরও মোট ৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া নিবীড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ২ জন এবং  ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একজন। এই একদিনে ৩ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এদের মধ্যে ২ জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। এ ছাড়া  ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি ৩ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সি একজন মারা গেছেন। 

এদিকে, ২৪০ শয্যার করোনা ইউনিটে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১২৯ জন। একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৩৭।

বর্তমানে রাজশাহীর ৬৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৪ জন, নাটোরের ১৩ জন, নওগাঁর ১১ জন, পাবনার ১৪ জন, কুষ্টিয়ার ৭ জন, চুয়াডাঙ্গার ৫ জন, জয়পুরহাটের একজন এবং মেহেরপুরের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ২৭ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২০ জন।

এর আগে রোববার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ১৬ জনের নমুনায়। 

একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ২২০ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৮ দশমিক ০৯ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে। 

প্রসঙ্গত,  চলতি সেপ্টেম্বরের এই ১৩ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৮৬ জন। এর মধ্যে করোনায় ৩০ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৪৮ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৭ জনের মৃত্যু হয়।

এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

Leave a Reply