স্টাফ রিপোর্টার: অপহরণের শিকার ধামইরহাট উপজেলারি আদিবাসী স্কুলছাত্রী (১৪) উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ধামইরহাট থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে ধামরহাট থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত মেহেদি হাসানসহ তিন জনকে। আলাদা অভিযানে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত মেহেদি হাসান উপজেলার ছোট শিবপুর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। তার দুটি স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
অপহরণের শিকার ওই কিশোরী উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ওই কিশোরী স্থানীয় জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ওই ছাত্রী। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে তাকে খুঁজতে নামে পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: ধামইরহাটে স্কুলছাত্রী অপহরণের অভিযোগ
এক পর্যায়ে প্রতিবেশীর মাধমে জানতে পারে ওই কিশোরীকে একই এলাকার মেহেদি হাসান দলবল নিয়ে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
তখনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা ও সাবেক ইউপি সদস্য হায়দার আলীকে জানায় ওই কিশোরীর পরিবার। পরে লোকজন নিয়ে মেহেদি হাসানের বাবা আবু বক্করের কাছে যায়।
ওই সময় মেহেদির বাবা ওই কিশোরীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও ব্যর্থ হন তিনি। পরে এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে ওই কিশোরীর পরিবার।
এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল মমিন বলেন, অভিযোগ পাবার পর অপহরণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। একে একে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তসহ তিন আসামীকে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
Leave a Reply