স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আরও ৭ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে এরা মারা যান।
এই দিন করোনায় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন করে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর ২ জন, নওগাঁর ২ জন এবং নাটোরের একজনসহ মোট ৫ জন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় রামেক হাসপাতালে করোনায় ২ জন এবং করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৫ জন মারা গেছেন। এই একদিনে ৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবীড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। এ ছাড়া ৩ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন করে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় ৩ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। এ ছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সি একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি ৪ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সি একজন মারা গেছেন।
এদিকে, ২৪০ শয্যার করোনা ইউনিটে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১২৪ জন। একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৩০।
বর্তমানে রাজশাহীর ৫৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৭ জন, নাটোরের ১৭ জন, নওগাঁর ১৩ জন, পাবনার ১৪ জন, কুষ্টিয়ার ২ জন, চুয়াডাঙ্গার ৩, সিরাজগঞ্জের একজন এবং মেহেরপুরের ২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৪ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৭০ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৩০ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৯ জন।
এর আগে রোববার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ২ জনের নমুনায়।
একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ১৪৩ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং জয়পুরহাটের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই ২০ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১২৩ জন। এর মধ্যে করোনায় ৪১ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৭৪ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৮ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
Leave a Reply