চাঁপাইনবাবগঞ্জ: মাশা তাড়াতে গরুর খামারে খড়ের কুণ্ডলিতে আগুন দিয়েছিলেন খামারি। সেই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন খামারের ২৭টি গরু। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের আখিলা এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি সোলেমান ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, ধোঁয়া সৃষ্টি করে গরুর খামারে মশা তাড়ানোর জন্য খড়ের কুণ্ডলিতে আগুন দিয়েছিলেন। সেই আগুন ছড়িয়েছে খামারে । তাতেই সর্বনাশ।
আগুনে পুড়ে ৩টি ষাঁড়, ২২টি শাহীওয়াল বকনা ও ২টি বাছুর মারা গেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারি সোলেমান।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুন আলী বলেন, হঠাৎ আগুনের খবর পেয়ে উপস্থিত হয়ে দেখি মুহূর্তেই সবগুলো গরু আগুনে পুড়ে গেছে। খামারের একটি গরুও জীবিত নেই।
কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জানান, খামারে মশা তাড়ানোর জন্য খড়ের ধোঁয়া দিয়ে নামাজ পড়তে যান খামারের মালিক সোলেমান। পরে দেখতে পাই তার গরুর খামারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় খামারের বাইরে কোথাও আগুন ছড়াতে পারেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) শামছুল আজম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ, নাচোল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মিন্টু রহমানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোমস্তাপুর সার্কেল পরিদর্শন করেছেন। নাচোল থানায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।
নাচোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার ইব্রাহিম আলী জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম পাঠানো হয়। পরে ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে গরু ছাড়া আর কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। খামারের সবগুলো গরু মারা যাবার বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে।
Leave a Reply