শাহনাজ পারভীন সিনথি: সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম বদলে দিতে পারে কিডনি রোগীদের জীবন। তেমনি কিডনি রোগীদের ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে গেলে তা কমানোর বিভিন্ন উপায় আছে।
♦ ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে গেলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পাঁচ থেকে সাত গ্লাসের বেশি পানি পান করা যাবে না।
♦ প্রতিদিন প্রোটিন ৪০ গ্রাম দেওয়া যেতে পারে, তাতে সমস্যা নেই।
♦ কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
♦ আঁশজাতীয় কিছু দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ শাক, লাল চাল, লাল আটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
♦ যদি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে, তখন চর্বিজাতীয় খাবার সীমিত করতে হবে।
♦ এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে, যেগুলোতে সোডিয়াম ও পটাসিয়াম কম থাকবে।
♦ গরুর দুধ, স্কিমড মিল্ক, দই, বেরিজাতীয় ফল, লাল আঙুর, লাল ক্যাপসিকাম ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে, তবে সব ধরনের ফল খাওয়া যাবে না।
♦ আনারস ৫০ গ্রাম অথবা এক স্লাইস খাওয়া যাবে।
♦ টমেটোর মাংসল অংশটা খাওয়া যাবে, কিন্তু তরল পানি অংশটা খাওয়া যাবে না।
♦ খই কার্বজাতীয় হওয়ায় এটি অসম্ভব ভালো কাজ করে। ভুট্টা, পপকর্ন এগুলোও ভালো কাজ করে।
♦ সব ধরনের সবজিই খেতে পারবেন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়ে তারপর খেতে হবে।
♦ কলা, ডাবের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে।
♦ মিষ্টিকুমড়ার শক্ত সবুজাভ অংশ, গাজরের মাঝের নরম অংশ, লবণাক্ত আচার, পনির, নুডলস মিক্স, পাস্তা, লবণাক্ত বা টিনজাত মাংস, খাবার সোডা, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
♦ কোনো প্রকার চা খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। চা পান করার ফলে কিডনির কার্যকলাপ বেড়ে গিয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় পানিও বেরিয়ে যায়। এ কারণে চা একেবারেই এড়িয়ে চলা উত্তম।
♦ পেঁপে একেবারেই দেওয়া ঠিক নয়।
এতে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
♦ কাঁচা জিনিস, সালাদ খাওয়া যাবে না।
♦ প্রতিটি খাবারের বিকল্প খুঁজে বের করা প্রয়োজন। রোগীদের জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডায়েট দিতে হবে। তবেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমানো সম্ভব। ভালো হয় পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিলে।
লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার, ঢাকা।
Leave a Reply