নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় সোনা দাবি করে পিতলের পুতুল বিক্রির অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার পিপলসন দড়িপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের কাছে নকল সোনার মূর্তিটিও পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোঃ মন্টু (৪০), মোঃ মুকুল (৪৪), মোঃ শফিকুল (৩০), মোহাম্মদ আলী (৪০), জাহিদুল ইসলাম (৫৫), রজিম আহম্মেদ (২২) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮)।
এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ্লাঙ্গল মোড়া এলাকার বাসিন্দা। বাকি ছয় জন পিপলসন দড়িপাড়ার বাসিন্দা।
এই চক্রের আরও ৪ সদস্য পলাতক। তাদের পাকড়াও করার চেষ্টা চালাচ্ছে র্যাব। এনিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, এরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। পরস্পর যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সোনার পুতুলের নামে সোনালী রংয়ের পুতুল বিক্রির মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছিলেন।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর চক্রটি সোনার পুতুলের নামে ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বার সালামপুরের বাসিন্দা তরিকুল ইসলামের কাছে সোনালী রংয়ের পুতুল বিক্রি করেছিল।
প্রতারণা টের পেয়ে রোববার টাকা ফেরত চান তরিকুল। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে প্রতারকরা তাকে হত্যার হুমকি দেন। পরে এনিয়ে র্যাবের নাটোর ক্যাম্পে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। এরপরই প্রতারকদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে র্যাব।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানী অধিনায়ক ফরহাদ হোসেন ও উপ-অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম। তারা গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগ পেয়ে প্রথমে সিংড়া উপজেলার পিপলসন দড়িপাড়া থেকে সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন চক্রের আরও চার সদস্য।
গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবের কাছে দীর্ঘদিন ধরে এমন কাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply