খেলাধুলা ডেস্ক: এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দলে ফিরতে এখন আর বাধা নেই তার।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সেই ফেরাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে তার জন্য?
পরিসংখ্যান বলছে, সাকিব ছাড়া গেল ১ বছরে টাইগারদের মাঠের পারফরমেন্স সুখকর ছিল না।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে মোট ১৪ ম্যাচে জয় মিলেছে ৭টিতে। যার বেশিরভাগই আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
কথায় বলে- প্রকৃতি শূন্যতা পছন্দ করে না। একবার ছিটকে গেলে, ফেরাটা যে কারো জন্যই কঠিন। সাকিব আল হাসান ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন ১ বছর।
লাল সবুজ জার্সিতে খেলতেই পারেননি। সাথে বিসিবির যেকোনো ধরনের অনুশীলন সুবিধা নেয়ার উপরও ছিল নিষেধাজ্ঞা। ফিরেই কি জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন সাকিব?
উত্তর মিলবে পরিসংখ্যানে। এই এক বছরে বাংলাদেশ দলের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ৩৬টি ম্যাচ মিস করার কথা ছিল সাকিবের।
কিন্তু করোনাভাইরাসের সাকিবকে খেলতে দেয়নি মাত্র চারটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
সাকিবের কাছ থেকে টেস্ট অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মুমিনুল হক। ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধান হারতে হয়েছিলো ৩ টেস্ট! একমাত্র জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের আর্ম ব্যান্ড পরে অবশ্য শুরুতে চমক ছিলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ভারতের বিপক্ষে সেই জয়ের পর বাকি চারটিতে হার। জয় শুধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুটিতে।
মাঠের খেলায় ব্যাটে-বলে সাকিবের অলরাউন্ডার স্থানটিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি কোনো ক্রিকেটার! তাই তো একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছাড়াই হারানো জায়গা ফিরে পেতে যাচ্ছেন সাকিব।
হয়তো কোনো ফুলেল শুভেচ্ছা জুটবে না; কোন লাল গালিচা সম্বর্ধনারও প্রশ্ন নেই।
সাকিব ফিরছেন অন্ধকার জয় করে; কিন্তু তার ফেরাটা যে কতটা জরুরি সেটি মর্মে মর্মে অনুধাবন করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। সাকিব নিজেও নিশ্চয় করে থাকবেন।
Leave a Reply