স্টাফ রিপোর্টার: রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের জনসভা। দুপুর থেকেই নগরীর মাদ্রাসা মাঠে শুরু হবে জনসভা। বিকেলে তাতে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভা স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা হবে বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
লোকজনের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এরই মধ্যে সাতটি ট্রেন ভাড়া করেছেন আওয়ামী লীগ। বিশেষ ট্রেন হিসেবে বিভিন্ন রুটে এসব ট্রেন চালাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুরসহ বিভিন্ন রুটে সাতটি ট্রেনে সবমিলিয়ে ৫ হাজার ৩৩৬ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে। ট্রেনগুলো সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছাবে।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ থেকে ১ হাজার ৫০ জন যাত্রী পরিবহণ করবে সিরাজগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন। সকাল ১০টায় ছেড়ে বেলা দেড়টায় রাজশাহীতে পৌঁছাবে ট্রেনটি। সন্ধ্যা ছয়টায় যাত্রী নিয়ে ট্রেনটির রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাবার কথা।
জয়পুরহাট স্টেশন থেকে সকাল ৯টায় ছাড়বে জয়পুরহাট স্পেশাল ট্রেন।ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটি সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে।
নাটোর স্পেশাল ট্রেনটি সকাল ৯টায় নাটোর ছেড়ে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী পৌঁছাবে। ট্রেনটি ৭৩৫ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
রহনপুর স্পেশাল ট্রেন বেলা সাড়ে ১১টায় ছাড়বে। রাজশাহী পৌঁছাবে বেলা ১টা ৫ মিনিটে। জনসভা শেষে ট্রেনটি বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন দুবার যাত্রী পরিবহন করবে। প্রথমবার সকাল সাতটায় ছেড়ে সাড়ে আটটায় রাজশাহী পৌঁছাবে। আবার ৮টা ৫০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে।
ফের সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে। সন্ধ্যা ছয়টায় ট্রেনটি আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এই ট্রেনের মোট আসন থাকবে ৪২৮টি।
রানীনগর স্পেশাল ট্রেনে সকাল সোয়া ১০টায় ছেড়ে বেলা পৌনে একটায় রাজশাহী পৌঁছাবে। আবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজশাহী ছেড়ে যাবে। এ ট্রেনে আসন ৭৬৮টি।
আড়ানী স্পেশাল ট্রেন দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে বেলা সোয়া একটায় রাজশাহী পৌঁছাবে। আবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় রাজশাহী ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া ঈশ্বরদী থেকে আরও একটি স্পেশাল ট্রেন যোগ হতে পারে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববার কয়েকটি ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। শুধু মধুমতি ট্রেন একটু বিলম্ব হতে পারে। তা ছাড়া সব ট্রেন সময়মতো চলবে। বন্ধ ট্রেনগুলোর লোকোমোটিভ এই স্পেশাল ট্রেনে ব্যবহার করা হবে।
এত কোচের ব্যবস্থা কীভাবে করা হয়েছে—জানতে চাইলে মহাব্যবস্থাপক বলেন, তারা ১৫ দিন আগে ফরমাশ পেয়েছেন। তখন থেকে ওয়ার্কশপে মেরামতের অপেক্ষায় থাকা বগিগুলো ঠিক করা হয়।
এগুলো সর্বোচ্চ ৫৫–৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে। তবে কোনোটিই নিয়মিত ট্রেনের মতো ৯০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, এই দূরত্বে ৬০ কিলোমিটার গতিই যথেষ্ট।
Leave a Reply