কৃষিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভিনদেশী ‘পার্থেনিয়াম’

স্টাফ রিপোর্টার: কৃষিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভিনদেশী বিষাক্ত আগাছা পার্থেনিয়াম। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসা এই আগাছা ছড়িয়েছে সীমান্ত ঘেঁষা অন্তত ৩৫টি জেলায়। এখানকার অন্তত: ২৫ ধরণের ফসলের খেতে বিস্তার ঘটেছে এই আগাছার।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, এক যুগ আগেও পার্থেনিয়ামের অস্তিত্ব ছিলোনা বাংলাদেশে। এখন এটি ছড়িয়ে পড়েছে। এই আগাছা বেগুন, টমেটো, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের পরাগায়ন কমিয়ে দেয়। ধান, ছোলা, সরিষা, গমসহ বিভিন্ন ফসলের অঙ্কুরোদগম ও বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ফলে পার্থেনিয়ামের বিস্তার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, পার্থেনিয়াম (Parthenium hysterophorus L) আগাছা Asteraceae পরিবারের  অন্তর্ভূক্ত একটি আক্রমণাত্মক ও উপনিবেশিক একবর্ষজীবী বীরুত উদ্ভিদ। উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার সাব ট্রপিক্যাল অঞ্চল, মেক্সিকো এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এর উৎপত্তি। এখন পর্যন্ত পাঁচটি মহাদেশ এবং অসংখ্য দ্বীপসহ বিশ্বের 20 টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশে এটি নাকফুল নামে পরিচিত। এ আগাছা বেলে মাটি থেকে শুরু করে কর্দমাক্ত মাটিতেও জন্মাতে পারে। বছরে গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টিপাত ৫০০ মিলিমিটারের উপরে হলে এ আগাছা দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করতে পারে। এটি প্রশস্ত অভিযোজন, আলো এবং তাপ অসংবেদনশীল, খরা সহনশীল, শক্তিশালী প্রতিযোগী ও অধিক বীজ উৎপাদনে সক্ষম, মাটির নীচে বীজের দীর্ঘায়ু, ছোট ও হালকা বীজ যা বহু দূরত্বে ভ্রমণে সক্ষম।

এ আগাছার বীজ বাতাস, সেচের পানি, বীজ ও খাদ্যশস্য আমদানী, যানবাহন, গবাদী পশু, পাখি এমনকি কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এক দেশ থেকে আরেক দেশে, এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। আফ্রিকান দেশগুলি রয়েছে পার্থেনিয়াম আক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে। চীনের আটটি প্রদেশে উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে আগাছাটি। এখন সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং পশ্চিমা দেশগুলো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৮ সালে যশোরে প্রথম পার্থেনিয়ামের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। প্রথম দিকে রাস্তার দুই পার্শ্বেই কেবল পার্থেনিয়ামের উপস্থিতি চোখে পড়ত। সময়ের প্রেক্ষিতে তা পতিত জমিত এমনকি ফসলের খেতে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন বিভিন্ন দানা জাতীয় ফসল, ডাল ও তেল ফসল, সবজি, মসলা জাতীয় ফসল, কন্দ জাতীয় ফসল এমনাকি ফল বাগানেও এখন পার্থেনিয়াম বেড়ে উঠছে।

বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ; রংপুর বিভাগের রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট; খুলনা বিভাগের যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর প্রভৃতি জেলার রাস্তার দুই পার্শ্বসহ ,উঁচু ও মধ্যম উঁচু জমির ফসলের ক্ষেতে এই আগাছার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।

এছাড়াও নড়াইল, মাগুরা,  খুলনা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মানিকগঞ্জ,  সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল, নেত্রকোন ও কিশোরগঞ্জে শুধু রাস্তার দুই পার্শ্বে এবং পতিত জমিতে এই আগাছার উপদ্রুপ দেখা গেছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি এই আগাছা দিনে দিনে নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।কৃষিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভিনদেশী ‘পার্থেনিয়াম’

দেশে পার্থেনিয়াম আগাছার আক্রমণের তথ্য অনুসন্ধানে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিন বছর ধরে দেশর ৩৫টি জেলায় জরিপ চালিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানী ড. মো. ইলিয়াছ হোসেন, বি এল নাগ, অধ্যাপক রেজাউল করিম, এম এইচ রহমান ও এম মাসুম। দেশে পার্থেনিয়ামের প্রাচুর্য, আবাসস্থল ও বিস্তার পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা।

 

একই সাথে এই আগাছা কতটি ফসলের ক্ষতি করেছে তা শনাক্ত করেছেন। মূলত: পার্থেনিয়াম দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি ও হুমকি কি না সেটিই খতিয়ে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। পরে ২০১৯ সালের দিকে ভারতীয় একটি কৃষি বিজ্ঞান সাময়িকীতে এই গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়।

গবেষক দলের সদস্য বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও রাজশাহী অঞ্চল প্রধান ড. মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, তিনি বলেন, ২০০৮ সালে পার্থেনিয়াম গবেষণার তথ্য অনুসন্ধানে বাংলাদেশে আসেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিভ অ্যাডকিনস। তার সাথে ছিলেন দেশের একদল কৃষি বিজ্ঞানী। তারা ওই সময় যশোর অঞ্চলে পার্থেনিয়ামের উপস্থিতি শনাক্ত করেন।

ওই বছরেই ভারতের সীমানা বেষ্টিত যশোরের বেনাপোল বন্দর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকা এবং যশোর- রাজশাহী অঞ্চলের রাস্তার দুই পাশে এ আগাছা শনাক্ত হয়। ওই গবেষক দলের সদস্য ছিলেন ড. মো. ইলিয়াছ হোসেন। পরে তিনিসহ একদল গবেষক পার্থেনিয়াম দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি ও হুমকি কি না সে নিয়ে গবেষণা করেন।

ড. ইলিয়াছ বলেন, রাস্তার ধারে, পতিত জমি, তৃণভূমি এবং বিভিন্ন ফসলের খেতে পার্থেনিয়াম আগাছার সবচেয়ে ঘন উপদ্রব পাওয়া গেছে। আমরা শুধুমাত্র একটি প্রজাতির পার্থেনিয়াম শনাক্ত করেছি। এটি দেশে উৎপাদিত অনেক ফসলকে প্রভাবিত করেছে। পার্থেনিয়াম আগাছার সর্বাধিক প্রাচুর্য বাংলাদেশ ও ভারতের সংযোগকারী রুটগুলির নিকটবর্তী হওয়ায় সীমান্ত এলাকায় ঘটেছে।

দেশের পঁয়ত্রিশটি জেলায় পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, পার্থেনিয়াম আগাছা বৃহত্তর যশোর, রাজশাহী এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলে দেখা গেছে, যা ভারতের সীমান্তবর্তী, যেখানে এটি রাস্তার ধারে এবং কিছু ফসলের ক্ষেতে উপস্থিত ছিল। ফসল উৎপাদনে এর প্রভাবের কারণে এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্বেগজনক আগাছা।

ওই গবেষণায় দেখা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং যশোরের কালিগঞ্জ এলাকায় প্রতি বর্গমিটারে ৮টির উপরে পার্থেনিয়াম আগাছার উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রতি বর্গমিটারে ৫ থেকে ৭টি পার্থেনিয়াম আগাছার উপস্থিতি পাওয়া যায় রাজশাহীর পবা, নাটোরের বড়াইগ্রাম, নওগাঁর মান্দা, যশোর সদর ও বেনাপোল এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়।

প্রতি বর্গমিটারে ১ থেকে ৪টি পার্থেনিয়াম আগাছার উপস্থিতি পাওয়া যায় রাজশাহীর চারঘাট, নাটোর সদর, পাবনার ঈশ্বরদি, যশোরের ঝিকরগাছা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায়। প্রতি বর্গমিটারে ১ থেকে ২টি পার্থেনিয়াম আগাছার উপস্থিতি পাওয়া যায় নাটোরের গুরুদাশপুর, নওগাঁ সদর, জয়পুরহাট সদর এবং যশোরের মনিরামপুরে। এছাড়া প্রতি ১০০ মিটারের মধ্যে একটি পার্থেনিয়ামের উপস্থিতি পাওয়া যায় পাবনা সদর, বগুড়া  সদর. এবং নড়াইল সদরে।কৃষিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভিনদেশী ‘পার্থেনিয়াম’

ড. ইলিয়াছ বলেন, আমরা রাজশাহী অঞ্চলে শুধুমাত্র একটি প্রজাতির পার্থেনিয়াম শনাক্ত করেছি। জরিপ চলাকালে এই আগাছা দ্বারা আক্রান্ত ২৫টি ফসল পাওয়া যায়। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সরিষা, টমেটো এবং আলু আক্রান্ত হয়েছে। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আড়ানী এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে পেঁয়াজ, কালো ছোলা, আখ, দেশী শিম।

রাজশাহীর চারঘাট ও পুঠিয়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় হলুদ, আদা, কলা, দেশীয় শিম, আমের বাগান এবং মটর খেতে আক্রমণ করেছে পার্থেনিয়াম। এর বাইরে বহু ফসলের ক্ষতি করছে বিষাক্ত এই আগাছা। নওগাঁ ও রাজশাহী জেলায় আলু ও গম খেত আক্রমণ করেছে এই আগাছা।

আক্রমণের তীব্রতা বিষয়ে এই গবেষক বলেন, পার্থেনিয়াম আক্রমণের সবেচেয়ে বেশি তীব্রতা ছিল আমের বাগান, আখ, কলা, হলুদ খেতে। এছাড়া উচ্চ মাত্রার আক্রমণ পাওয়া যায় করলা, শিমসহ বিভিন্ন খেতে। মাঝারি মাত্রার তীব্রতা পাওয়া যায় মটর, শিম, আদা এবং করলা খেতে। আলু, টমেটো ও গম থেকে কম মাত্রার আক্রামণ পাওয়া যায়। কিছু কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ফসলের ক্ষতি করেছে এই আগাছা। তবে সামগ্রিকভাবে অধিকাংশ জেলায় পতিত জমিতে পার্থেনিয়ামের উপস্থিতি ব্যাপক পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, পার্থেনিয়াম আগাছা সারা বছর জন্মায়। তবে গ্রীষ্মকালে এটি সবচেয়ে বেশি হয়। এটি অ্যালিলোপ্যাথিক যৌগগুলির মাধ্যমে বেগুন, টমেটো, মরিচ ইত্যাদির পরাগায়ন হ্রাস করে । এটি গম, ভুট্টা, মরিচ, সীম, টমেটো ও বেগুনের ফল ও দানা গঠনে বাধা সৃষ্টি করে। ধান, ছোলা, সরিষা, গম, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া ও মরিচের বীজের অঙ্কুরোদগম ও বৃদ্ধি কমিয়ে ফসলের ফলন অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

এটি বেশি পরিমাণে নাইট্রোজেন সার গ্রহণ করে। ফলে গাছে ইউরিয়া অভাবজনিত লক্ষণ দেখা যায়। ফসলে অতিরিক্ত মাত্রায় নাইট্রোজেন প্রয়োগের ফলে খরচ বেশি পড়ে। এ আগাছা সীমজাতীয় ফসলের নডুল তৈরিতে সমস্যা সৃষ্টি করে।পার্থেনিয়াম আগাছার আক্রমণের তীব্রতা বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তার উপর ব্যাপক ক্ষতির কারণ বলে মনে করা হয়। আগাছা বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনকে আরও ব্যাহত করার আগে কার্যকর ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

এই গবেষক আরও বলেন, পার্থেনিয়াম গাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত। এসময়ের মধ্যেই তিনবার ফুল ও বীজ দেয়। ফুল আসার সময় বাতাস প্রবাহিত হলে ৩-৪ কিলোমিটার পর্যন্ত এই আগাছা বিস্তার লাভ করে থাকে। মাটির উপরিভাগের বীজের ২ বছর পর্যন্ত গজানোর ক্ষমতা থাকে কিন্ত মাটির নীচে বীজ থাকলে ৬ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত গাজানোর ক্ষমতা থাকে। অঙ্গজ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই আগাছা জন্ম হতে পারেনা। শুধু মাত্র বীজের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিস্তার লাভ করে।কৃষিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভিনদেশী ‘পার্থেনিয়াম’

এটি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে ড. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, গরু-ছাগল -ভেড়া এই আগাছা খেলে প্রথমে মুখে ঘাঁ ও চর্মরোগ হয় এবং আস্তে আস্তে মুখের মাড়িতে ঘা হতে থাকে এবং বেশি পরিমাণে খেলে ডাইরিয়াসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে থাকে। মানুষের শরীরে এই আগাছ স্পর্শ হলে প্রথমে চুলকানি, চর্মরোগ হয়ে থাকে এবং ধীরে ধীরে একজিমা আকার ধারন করে। মানুষের শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস, অ্যাজমাসহ জটিল রোগের কারণ হতে পারে এ আগাছা ।

পার্থেনিয়ামের বিস্তার রোধে ফুল ও ফল ধরার আগে  শিঁকড়সহ গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলার পরামর্শ দেন এই গবেষক। তিনি বলেন,বিভিন্ন ফসলের জাত পরিবর্তন ও বিভিন্ন ফসলের গভীরতা এবং বীজ বপনের সময় পরিবর্তন করে এই আগাছার বিস্তার ঠেকানো যায়। জমি পতিত না রেখে কভার জাতীয় ফসল যেমন মুগডাল, ধৈঞ্চ্যা, কাউপি ফসল চাষ করা যেতে পারে। পার্থেনিয়াম আক্রান্ত খেতে গবাদিপশু চরানো বন্ধ রাখতে হবে, যাতে এটি ছড়িয়ে না পড়ে। আক্রান্ত খেতের খামার যন্ত্রপাতি ভালো জমিতে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

রাসায়নিক দ্রব্যাদি দ্বারা এই আগাছা দমন করা খুবই কষ্টকর উল্লেখ করে ড. ইলিয়াছ বলেন, ফুল আসার আগে গ্লাইফোসেট নামক আগাছা নাশক প্রতিলিটার পানিতে ১০-১৫ মিলিলিটার মিশিয়ে স্প্রে করে এই আগাছ দমন করা সম্ভব। এছাড়াও সাধারন লবণ ১৫-২০% দ্রবন অর্থাৎ ২০ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে এই আগাছ দমন করা যায়।

তিনি বলেন, দেশে পার্থেনিয়ায় সম্পর্কে বাংলাদেশে তেমন কোন গবেষণা হয়নি। তাই এ আগাছার প্রাদুর্ভাব এবং ফসল ও পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব শনাক্তে জরুরী ভিত্তিতে জরীপ ও নিবিড় গবেষণা প্রয়োজন। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সমন্বিত গবেষণা কর্মসূচীও নেয়া যেতে পারে। একই সাথে বীজ ও খাদ্যশস্য আমদানিতে উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইনের প্রয়োগসহ জনসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

Leave a Reply